Bdjobs-এ কর্মসংস্কৃতি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ:
মূল্যায়নের অভাব:
প্রতিষ্ঠানে সঠিক মূল্যায়ন পদ্ধতির ঘাটতি রয়েছে। কর্মীদের কাজ, প্রচেষ্টা ও প্রতিভাকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
এইচআর বিভাগের অনুপস্থিতি:
কোম্পানিতে আলাদা কোনো মানবসম্পদ (HR) বিভাগ নেই, ফলে সকল সিদ্ধান্তে সরাসরি CEO হস্তক্ষেপ করেন — যা পেশাদার ব্যবস্থাপনার পরিপন্থী।
ছুটি এবং কর্মঘণ্টা ব্যবস্থাপনা:
শনিবার অফিস অল্টারনেটিভভাবে বন্ধ থাকে বলা হলেও, কোন বিশেষ দিনে (যেমন বৃহস্পতিবার বা রবিবার) অফিস থাকলে পরবর্তী শনিবার ছুটি দেওয়া হয় না। এমনকি ২৬শে মার্চের মতো জাতীয় ছুটির দিনেও কর্মীদের অফিস করতে বাধ্য করা হয়েছে।
কর্মী সংখ্যা বনাম কর্মদক্ষতা:
প্রতি টিমে ১০-১৫ জন রাখা হলেও প্রকৃতপক্ষে কাজ করেন ২-৩ জন। ম্যানেজমেন্ট কোয়ালিটিকে নয়, কোয়ান্টিটিকে প্রাধান্য দেয়, ফলে দক্ষদের অবদান চোখে পড়ে না।
পেশাগত উন্নয়ন ও গ্রোথের ঘাটতি:
কোম্পানিতে বহু বছর কাজ করেও অনেক কর্মী প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট পাননি। দীর্ঘদিন কাজ করেও কর্মীদের উন্নতির কোনো সুনির্দিষ্ট পথ বা সুযোগ নেই।
অযোগ্য নেতৃত্ব:
টিম লিডারদের অনেকেই বেসিক টেকনিক্যাল জ্ঞান না রেখেই দায়িত্ব পালন করছেন। তারা কর্মীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে অক্ষম।
CEO-এর অপ্রাসঙ্গিক হস্তক্ষেপ:
CEO নিজে টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের না হয়েও টেকনিক্যাল টিমের প্রতিটি আলোচনায় জড়িত হন এবং সিদ্ধান্ত দেন — যা পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে অনুচিত।
বহির্বিশ্বে একরকম, ভিতরে আরেকরকম:
সামাজিক মাধ্যমে, বিশেষ করে LinkedIn-এ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা মূল্যবোধ ও ন্যায়ের কথা বলেন, অথচ বাস্তবে কর্মীদের প্রাপ্য প্রমোশন বা ছুটি অবহেলিত হয়।
অপ্রতুল সহায়তা ও অসৌজন্যমূলক ব্যবহার:
Accounts বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন Pay Slip, Account Statement) নিতে গেলে এমন ব্যবহার করা হয় যেন বিশাল কিছু দাবি করা হয়েছে। কর্মীদের প্রতি সহানুভূতি ও পেশাদার আচরণের অভাব রয়েছে।